ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার কটেজ জোনে থেমে নেই পতিতা ব্যবসা

অনলাইন ডেস্ক, কক্সবাজার ::

পুলিশি অভিযানের কোন প্রভাব পড়েনি শহরের কলাতলীর কটেজে। উল্টো আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নিষিদ্ধ কারাবারের সাথে সম্পৃক্তরা। গত কয়েকদিনে নতুন করে পতিতা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে কয়েকজন কটেজ মালিক।
এই কটেজগুলোসহ বর্তমানে শুধু কটেজ জোনের মাঝের তালি নামে পরিচিত সড়ক এবং এর আশপাশের ২০টির অধিক কটেজে প্রকাশ্যে চলছে পতিতা ব্যবসা। পতিতা ব্যবসাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দালালদের সহায়তায় ঢাকার কয়েকজন দালাল শুরু করেছে ইয়াবার রমরমা কারবার। আর এর নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় এক গডফাদার। তার প্রত্যক্ষ মদদে এই কারবার পরিচালিত হয়। এ কারণে কেউ প্রকাশ্যে এই কারবারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। ফলে দিন দিন কটেজ ব্যবসার আড়ালে এই নিষিদ্ধ ব্যবসার প্রসার ঘটছে। যা স্থানীয়দের ফেলে দিয়েছে বিব্রতকর অবস্থায়।
বছরের বেশিরভাগ কটেজ জোনে পর্যটকদের যাতায়াত থাকে না। ফলে কটেজ মালিকদের গুণতে হয় লোকসান। এটিকেই লুফে নেয় একশ্রেণির দালাল। মালিকদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট সময়ের চুক্তিতে কটেজ ভাড়া নেয় তারা। এরপর সেখানে শুরু করে পতিতা ব্যবসা। পুলিশকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করা সহজ। পর্যটন শহরের নামে প্রশাসনের ঝামেলা থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। দালালদের সহায়তা পর্যটক খদ্দেরের অভাব হয় না। স্থানীয় গডফাদারের কারণে এই ব্যবসার বিরুদ্ধে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চায় না। টাকার বিনিময়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা সহজেই বশ মানে। ফলে এই কটেজ জোনে এই কারবার করা খুব সহজ। কথিত আছে এই অবৈধ ব্যবসা থেকে স্থানীয় সাংবাদিকদের নামে প্রতিমাসে ২৫ হাজার টাকা তোলা হয়। পরবর্তীকালে যা কয়েকজন হলুদ সাংবাদিকের মাঝে বন্টন করা হয়।
গতকাল কটেজ জোনে গিয়ে দেখা গেছে, আমির জিম, সি-ইন ফ্লাওয়ার, ঢাকার বাড়ীসহ নামহীন বেশ কয়েকটি কটেজে প্রকাশ্যে চলছে পতিতা ব্যবসা। সিএনজি, টমটম এবং রিক্সা নিয়ে কটেজগুলোতে কখনো প্রবেশ করছে পতিতা। আবার কখনো দালালদের সঙ্গে খদ্দের। কখনো দালাল, খদ্দের আর পতিতা প্রবেশ করছে এক সঙ্গে। সবকিছু দেখভাল করছে রহিম নামে পরিচিত এক দালাল। সামনের সড়কে এক কিশোরকে রাখা হয়েছে খদ্দের এবং পতিতাদের কটেজের রাস্তা চিনিয়ে দিতে। এ সময় আরেক আলোচিত দালাল মন্নানকে দেখা যায় খদ্দের নিয়ে মাঝের গলিতে প্রবেশ করতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কটেজ ম্যানেজার জানিয়েছেন শুধু রাত নয়। দিনের বেলাতেও মাঝের গলিতে প্রকাশ্যে চালানো হয় পতিতা ব্যবসা। তবে রাত যতো বাড়তে থাকতে শুতোই এই গলি ধারণ করে ভিন্ন রূপ। বেড়ে যায় মানুষের আনাগোনা। সারি মানুষ কটেজগুলোতে ঢুকছে আর বের হচ্ছে। এটি প্রতিদিনের চিত্র। পাশাপাশি চলে ইয়াবার জমজমাট আসর।

পাঠকের মতামত: